ছোটবেলার টেলিভিশন দেখা


আমার লেখাগুলো ঠিক কোনো বিষয়ভিত্তিক না। যখন যে বিষয়টা মাথায় আসে সে বিষয়েই লিখি।
আমি দেখতাম বাচ্চাদের পরীক্ষার সময়গুলোতে আমার আত্মীয় স্বজনরা তাদের বাসার টেলিভিশনটি অফ রাখতেন। বাচ্চাদের দেখতে দিতেন না। পরীক্ষার কথা চিন্তা করে। অন্যদিকে আমাদের বাসায় কখনই এসব পরীক্ষাজনিত কারণে টিভি দেখা বন্ধ ছিল না। আমরা স্বাচ্ছ্যন্দে সবকিছু দেখতাম। সেরকম কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কারণ, বাবা-মা জানতেন যে আমরা সব কাজই ঠিকভাবে করতে পারি। আর সেরকম করেই আমাদের ছোটবেলা থেকে মানুষ করা হয়েছে। এক বাসার আঙ্কেল সবসময়ই অভিযোগ করতো বাবা-মা'কে, আপনাদের বাচ্চারা তো দেখি সারাদিনই টেলিভিশন দেখে। মা-বাবা হেসে বলতেন, ওরা সব কাজই করে ঠিকঠাকভাবে। তাই ওদের নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। চিন্তা অবশ্য করতেও হতো না। তারা আমাদের কখনও কোনো চাপে রাখেন নি। পড়াশোনা বা যেকোন বিষয়েই আমরা মুক্তভাবে পড়তে পারতাম।
তখন দেখেছি যে আসলে মুক্তভাবে বেড়ে ওঠাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার বাচ্চারা সেটা পারে না। কারণ, তাদের প্রচুর চাপে রাখা হয়। এটা একরকম তাদের মুক্ত বুদ্ধির চর্চাকে বাঁধা প্রদান করা ছাড়া আর কিছুই না। কারণ, যেসব আত্মীয় স্বজন তাদের বাচ্চাদের চাপে রাখতো, ফলাফলের দিক থেকে আমরা সবসময়ই তাদের চেয়ে ভাল ছিলাম। আসলে বাবা-মা'রা দুশ্চিন্তা কমাতে তার ছেলেমেয়েদের টেলিভিশন দেখা থেকে বিরত রাখতে চায়। কারণ, এটা সত্য যে বর্তমান মায়েরা নিজের ছেলের চেয়ে পাশের বাসার ভাবীর ছেলের রেজাল্টের টেনশান বেশি করে। এটা নিয়ে একদিন বিস্তারিত লিখব। আজ এতটুকুই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ