কথা বলতে শিখুন


বেশি কথা বলা মানুষকে লোকে বাচাল বলে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে জানার জন্য কথা বলার বিকল্প নেই। কথা না বলার অভ্যাস থাকলে আপনি বিপদে পড়লেও কথা বলতে পারবেন না। আপনার সম্মানহানি হচ্ছে সে মুহূর্তেও আপনি কথা বলতে পারবেন না। এমনকি অন্যায় দেখেও চুপ করে যাবেন এই কথা না বলতে পারার অভ্যাসের কারণে। তাই কথা বলাটা খুবই জরুরী।

একজন জব করা লোকের কথা একরকম, একজন ব্যবসায়ীর কথা আরেক রকম। একজন কৃষকের কথা একরকম, একজন একজন নেতার কথা আরেক রকম। প্রত্যকেটা কিন্তু কথাই। মুদি যেমন ব্যাংকারের মতো কথা বলবে না তেমনি ভিক্ষুকও নেতার মতো করে কথা বলবে না। বলতে গেলে প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্টাইল বা শৈলী ঠিক রাখতে হয়। এটা না রাখতে পারলে আপনি ঠিক জায়গায় নিজেকে ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না।

কিছু লোকের ভিক্ষা করার স্টাইল দেখেই আপনি তাকে ভিক্ষা দিতে চান না। এমন অনেক ভিক্ষুক আছে। তেমনি অনেক নেতা আছে যাদের স্টাইল বা আচার-ব্যবহার আপনি পছন্দ করেন না। শুধু এই কথার কারণে। তাই কথা বলা জানতে হবে।

হকার'রা অনেক দ্রুত কথা বলে। টার্গেট শুধু একটাই। তাদের পণ্যের গুণগান জনগণের মাঝে ভালভাবে বর্ণনা করে লোকজনকে সেটা কিনতে উৎসাহিত করা। একজন শিক্ষকের কাজ কথা বলে তার শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু বোঝানো। শুধু এসব পেশাতেই না, সমাজের একজন মানুষ হিসেবে আপনিও সমাজের প্রতিটি উপাদান নিয়ে চিন্তা করবেন।

বিজ্ঞানী নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার পর তিনি যদি নিজের মনের সাথে কথা না বলতেন আজকে তাহলে আর আমাদের মহাকর্ষ সম্পর্কে জানতে হতো না। আপেল খেয়েই পেট ভরতো।

শুধু তাই নয়। কথা বলা যে একদমই খারাপ তা কিন্তু মোটেও না। কারণ, যারা গোয়েন্দা তারা একই কথা বারবার উচ্চারণ করে থাকে অপরাধের সম্ভাব্য কারণ বের করার জন্য। তার মানে একটা স্থির চিন্তাও মানুষের চিন্তাধারাকে প্রসারিত করতে পারে। তাই কথা বলা মোটেই খারাপ নয়।

আপনি কথা বলবেন আপনার নিজের প্রয়োজনে, আপনার অধিকারের প্রয়োজনে, আপনার নিরাপত্তার প্রয়োজনে।
কথা বলুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ