বাস্তবতায় ভাবনা


কিছু কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতেই ভালোলাগে!
কখনো ইচ্ছে করে,কখনো ইচ্ছের বিরুদ্ধে,কখনো মনের কষ্ট থেকে আবার কখনোবা চাপে পড়ে মানুষ ভাবতেই থাকে,কারনে অকারনে ভাবতে থাকে। কোনোগুলো হয় সুখের ভাবনা আবার কোনোগুলো কষ্টের,কষ্ট থেকে উত্তরণের ভাবনা,আশা-আকাংখার ভাবনা।..কিছু কিছু ভাবনা যেমন মনে আনন্দ বয়ে আনে তেমনি কিছু ভাবনা চোখের জলের কারনও হয়। সব ভাবনা যেমন এক না ঠিক তেমনি প্রতিটা মানুষের ভাবনার কারনগুলোও এক না।যেমন নবদম্পতির ভাবনাগুলো থাকে সুখের,আনন্দের,যখন তারা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন ভাবনাটা হয়ে যায় কষ্টের(ব্যতিক্রম থাকতে পারে)হয়তবা সন্তানের দেয়া নয়তবা সৃষ্টিকর্তার দেয়া অসুখ বিসুখের,দিন গুনতে থাকে তারা পরপারে যাওয়ার,আবার যখন প্রিয়জন কষ্টে থাকে তখনো ভাবনাটা হয় কষ্টের,ICU তে থাকা কারো প্রিয়জনের ভাবনাটা যে কতটা কষ্টের হতে পারে তা চোখের সামনে না দেখলে বুঝা সম্ভব না।
আবার প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার পরও সে ভাবনা হয়ে মনে রয়ে যায়...!
সমাজে একশ্রেণীর লোক থাকে(খেটে খাওয়া মানুষ)যারা ভাবতে থাকে কিভাবে দু পয়সা বেশী উপার্জন করে পরিবার নিয়ে ভালো থাকবে,বাচ্চাদের পড়াশুনা করিয়ে বড় করবে যার ফল হিসেবে আমরা শুনতে পাই অমক রিক্সাচালোকের ছেলে মেডিকেলে,বুয়েটে,ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে।একজন কৃষকের ভাবনা থাকে অধিক ফসল ফলানোতে,তাদের ভাবনায় এটা খুব কমই থাকে যে তারা এর মাধ্যমে মানুষের অন্নচাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তবুও না ভেবেও তারা এ অবদানটা রেখে যাচ্ছে আজীবন যেমনটা করছে একজন গার্মেন্টস কর্মীও।কিছু সুশীল সমাজের(ডাক্তার,
প্রকৌশলী,সরকারী চাকুরিজীবী,রাজন
ীতিবিদ) ভাবনা যেমন থাকে নিজের সাথে সমাজের উন্নয়ন করা তেমনি কিছুর ভাবনা থাকে অন্যের পকেট খালি করে নিজেরটা ভরানোয় এর মধ্যে কিছু আবার উভয়পক্ষের এরা একটা সময় লুট করে জীবনের শেষ সময়ে এসে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান করার মাধ্যমে ভালো সাজার ভাবনায় থাকে।
সব মানুষের ভাবনায় উচ্চাকাংখা থাকে না...আমি দেখেছি কিছু মানুষকে খুব কাছে থেকে যারা শুধুমাত্র খেয়েপড়ে শান্তিতে বাঁচায় বিশ্বাসী,এদের মনে নেই কোনো কুটিলতা,নেই অন্যের সাফল্যকে টেনে ধরার পায়তারা,পারমানবিক বোমার ধ্বংসযগ্গ নিয়ে তারা ভাবেনা,এরা সুখে-দুঃখে,বিপদে-আপদে শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তাকে স্মরন করে।আমি অবাক হই,অবাক হই কিছু মানুষের সরলতা দেখে যারা খুবই ছোট পরিসরে সুখের সাথে বসবাস করছে।
আমাদের সমাজে আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা আমার মতই বেকার যুবসমাজ। এদের মনে থাকে হাজারটা স্বপ্ন আর মাথায় থাকে হাজারটা ভাবনা।এরমধ্যে স্বপ্নকে সার্থক করার শক্তি কারো থাকে আবার কারো থাকেনা।যাদের থাকেনা তারা ভাবতে ভাবতেই একটা সময় নিস্তব্ধ হয়ে যায়। ব্যর্থতার বোঝা তাদের মাথা তুলে বাঁচতে দেয় না।
জীবন বড় বিচিত্র.....!
এতো ভাবনার মাঝেও আশার বাণী হলো সঠিক ভাবনাই মানুষকে সাফল্য এনে দিতে পারে,সুখী করতে পারে।অযথা ভাবনা বয়ে আনে শুধু হতাশা আর হতাশা।তাইতো সেই বিখ্যাত উক্তি বারবার গুরুজনেরা স্মরন করিয়ে দেয়------
“ভাবিয়া করিও কাজ
করিয়া ভাবিও না”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

  1. স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে না। তবে যারা জীবনের বাস্তবতাকে খুব সহজে উপলব্ধি করতে পেরেছে ,তারাই কারো ক্ষতির চিন্তা না করে শান্তিতে বসবাস করার ইচ্ছাটা তৈরি করতে পেরেছে। বেশিরভাগ খারাপ যুবকই বার্ধক্যের দিকে এগোতে থাকলে ভাল হয়ে যায়। কারণ, অনেক বাস্তবতা তারা দেখে থাকে এ সময়। আমার যেটা মনে হয়, মানুষের উচ্চাভিলাসী হবার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। কারণ, আমাদের মৃত্যুটা সুনিশ্চিত। সর্বোপরি, চিন্তা ও লেখা দুটোই ভাল ছিল।

    উত্তরমুছুন